ভূমি অফিসের কার্যক্রম

ভূমি অফিসের কার্যক্রম বলতে মূলত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও তদাধীন ইউনিয়ন ভূমি অফিস এর কার্যাবলীকে বুঝায়। একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ১৯৮২ সালে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে সার্কেল অফিসার (রাজস্ব) (তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাগণ) এর পদকে উপজেলা রাজস্ব অফিসার পদে রূপান্তর করা হয়। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনকে গতিশীল করতে পরবর্তীতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে ১৯৮৮ সাল হতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। 

ভূমি অফিস তথা একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর দায়িত্বাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলি নিম্নরুপ:

রেকর্ড হালকরণ:

স্বত্বলিপি প্রণয়ন, নামপত্তন ,জমা খারিজ ও জমা একত্রীকরণের মাধ্যমে খতিয়ান সংশোধন , সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ তে বর্ণিত বিধানসমূহ প্রতিপালন সাপেক্ষে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর নিয়ন্ত্রণ ও রেকর্ড হালকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রাকৃতিক কারন ব্যতীত অন্য কারণে ভূমির প্রকৃতি পরিবর্তন রোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন, ১৯৭২ সালের পি,ও, ৯৬ ও ৯৮ এর প্রয়োগ (ভূমি সংস্কার আইন ১৯৮৪ এর আলোকে), লা-ওয়ারিশ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা , সিকস্তি পয়স্তি জমির ব্যবস্থাপনা এবং রেকর্ড হালকরণ , এল,এ, কেইসের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এই সংক্রান্ত রেজিস্টারসমূহ হালকরণ।

খাস জমি ব্যবস্থাপনা:

খাসজমি চিহ্নিতকরণ , খাসজমি উদ্ধারের পদক্ষেপ গ্রহণ ,এস,এ,অপারেশনে ভুলবশতঃ ব্যক্তির নামে রেকর্ডসহ, নদী পয়স্তি জমি চিহ্নিতকরণ, দিয়ারা জরিপের ব্যবস্থা ও রেজিস্টারভূক্তি, ভূমি সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ, ভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বিতরণ কাযক্রম ত্বরান্বিতকরণ, আদর্শ গ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন, চারণ ভূমি,হালট,গোপাট ইত্যাদি তদারকি দখল/সীমানা বহালকরণ, পরিত্যক্ত নদী/জলাশয় তদারকি,সীমানা নির্ধারন এবং খাস তালিকা হাল-নাগাদকরণ, ইউয়িন ভূমি অফিস তথা কাছারী কম্পাউন্ডের খাস জমি রক্ষণাবেক্ষণ, লা-ওয়ারিশ/পরিত্যক্ত জমি খাস খতিয়ানভূক্তির পদক্ষেপ গ্রহণ।

অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা:

অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত পাঁচটি রেজিষ্টারের যথাযথ সংরক্ষণ, অর্পিত সম্পত্তি তালিকা ( ক ও খ তফসিলভূক্তসহ সেন্সাস তালিকা) এবং অর্পিত সম্পত্তি কেইসের তফসিলসহ তালিকা সংরক্ষণ, মৌজাওয়ারী প্লটওয়ারী অর্পিত সম্পত্তির ভোগদখলকারীদের তালিকা প্রস্ত্তত, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের পদক্ষেপ গ্রহণ ,অর্পিত সম্পত্তি যথাযথ ইজারার ব্যবস্থা, প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অর্পিত সম্পত্তির হোল্ডিংগুলি চিহ্নিতকরণ এবং ঐ সকল হোল্ডিংয়ে কোন নামপত্তন জমা খারিজ বা জমা একত্রীকরণ হয়ে থাকলে তার সংশ্লিষ্ট অংশটুকু বাতিলকরণ , অর্পিত সম্পত্তি ২নং জমাবন্দি রেজিস্টারের প্রতিটি সংশ্লিষ্ট হোল্ডিংয়ে লাল কালি দিয়ে মার্ককরণের ব্যবস্থা গ্রহণ, এই সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল মোকদ্দমার ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, অর্পিত সম্পত্তির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ, অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রেরণ , অর্পিত সম্পত্তি থেকে অবমুক্তির বিষয়ে মতামত প্রদান।

ভূমি হুকুম দখল সংক্রান্ত দায়িত্বাবলী:

অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নোটিশ জারিতে সহায়তা (৩ ধারার নোটিশ), বিভিন্ন সংস্থার অনুকূলে বরাদ্দকৃত অব্যবহৃত জমি চিহ্নিতকরণ, এল,এ,কেইসের মাধ্যমে প্রাপ্ত এরূপ অব্যবহৃত জমি সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ জেলা প্রশাসক তথা জেলা কালেক্টরের নিকট প্রেরণ, জেলা প্রশাসক/জেলা কালেক্টরের অনুমোদনক্রমে এ সকল জমি সরকারের রাজস্ব বিভাগের আওতাধীনে নেওয়া ও ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন সংস্থার এরূপ অধিগ্রহণকৃত জমির পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংরক্ষণ, এল,এ,কেইসের মাধ্যমে হস্তান্তরিত জমির নামপত্তন/রেকর্ড হালকরণ।

ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়:

ভূমি উন্নয়ন করের বকেয়া ও হাল দাবী নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ, বিভিন্ন সংস্থার নিকট পাওনা বকেয়া ভূমি উন্নয়ন করের বিবরণী প্রস্ত্তত, বিভিন্ন সংস্থার নিকট থেকে দীর্ঘদিন অনাদায়ী দাবী সম্পর্কে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যবস্থা, দাবী আদায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও আদায় নিশ্চিতকরণ খেলাপী তালিকা প্রস্ত্তত (রিটার্ণ-৩), ভূমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত মোকদ্দমা নিম্পত্তি, সার্টিকেট মোকদ্দমার জন্য রিকুইজিশন দাখিলের ব্যবস্থা, আদায়কৃত অর্থ যথাযথ খাতে জমাকরণের নিশ্চয়তা বিধান।

সার্টিফিকেট কার্যক্রম (রেন্ট সার্টিফিকেট):

সার্টিফিকেট অফিসারের দায়িত্ব পালন রিকুইজিশন দাখিল ও আদায় প্রতিবেদন সংগ্রহ, সংশ্লিষ্ট রেজিষ্টারসমূহ পরীক্ষা, রেজিস্টার ৯ ও ১০ মিলকরণ, যথাযথভাবে প্রসেস/নোটিশ জারি নিশ্চিতকরণ, সার্টিফিকেট সংক্রান্ত অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ , সার্টিফিকেট সেল (নিলামে বিক্রয়) সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ।

সায়রাত মহাল ব্যবস্থাপনা

সায়রাত মহাল শব্দের অর্থ ভূমি কর ব্যতীত অন্যান্য বিবিধ কর এবং মহাল শব্দের অর্থ সম্পত্তি। সায়রাত মহাল শব্দের অর্থ দাঁড়ায় বিবিধ করভূক্ত সম্পত্তি। সরকারের যে সমস্ত ভূ-সম্পত্তি হইতে ভূমি কর ব্যতীত অন্যান্য বিবিধ কর আদায় করা হয় সেইগুলিকে সায়রাত মহাল বলা হয়।
যেমন :- জলমহাল, হাট-বাজার, বালু মহাল, পাথর মহাল, বাঁশ মহাল, ফেরীঘাট/খেয়াঘাট, রাস্তা সংলগ্ন জমি, কাছারি প্রাঙ্গন ইত্যাদি।

সায়রাত মহাল ইজারা দেওয়ার পূর্বে বা ইজারা দেওয়ার ক্যালেন্ডার ভূক্তির পূর্বে নিম্নে বিষয় গুলির প্রতি দৃষ্টি রাখতে হয়।

১। সায়রাত মহালটি রেজিষ্টার ভূক্ত কিনা।
২। সায়রাত মহালের কোন অংশের কোন শ্রেনীর পরিবর্তন হয়েছে কিনা।
৩। শ্রেণী পরিবর্তনের প্রস্তাব উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন আছে কিনা।
৪। মহালের উপর কোন স্বত্ব মামলা আছে কিনা।
৫। আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা।
৬। কমিশনারের কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা।
৭। মহালটি সংশ্লিষ্ট বাংলা সনের জন্য ইজারার উপযোগী কিনা।
৮। ইজারা বন্দোবস্তের কোন প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে বিবেচনাধীন আছে কিনা।
৯। ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি আপীল বোর্ড, ভূমি সংস্কার বোর্ডের কোন আপত্তি/নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা।
১০। জলমহাল হইলে উহা আবদ্ধ কিনা।
১১। জনগণের কোন প্রথাগত অধিকার আছে কিনা।
১২। সায়রাত মহাল ইজারা দেওয়া হইলে পরিবেশগত কোন বাধার সৃষ্টি হইবে কিনা।
১৩। ভূমি মন্ত্রণালয় ব্যতীত অন্য কোন মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত আছে কিনা।
১৪। উপজেলা পরিষোদের নিয়ন্ত্রনাধীন কিনা।
১৫। মহালের আওতাধীন কোন ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি আছে কিনা।
১৬। নিলাম ডাকের সময়সূচির যথাযথভাবে প্রচারিত হইয়াছে কিনা ও পরিবর্তিত হইলে তাহা প্রচারিত হইয়াছে কিনা।
১৭। হাট-বাজার হইলে তার পেরীফেরী হালনাগাদ নির্ধারিত কিনা।
১৮। ফেরীঘাট/অন্য কোন সায়রাত মহাল দুই বা ততোধিক জেলা সীমানার মধ্যে অবস্থিত কিনা।
১৯। প্রাক্তন ইজারা গ্রহীতা ইজারা নেওয়ার প্রার্থী হইলে তাহার পূর্ববর্তী বৎসরের আচরণ যথাযথ ছিল কিনা।
২০। ফেরীঘাটের ইজারা বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে পাটনীর প্রাধিকার বিবেচনায় আনয়ন করা হইয়াছে কিনা।
২১। বালু মহাল হইলে তাহা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কিনা।
২২। ডাকমূল্য যথাযথ কিনা।
২৩। টেন্ডার কমিটি কর্তৃক ডাকমূল্য গৃহীত কিনা।
২৪। কমিশনারের অনুমোদন পাওয় গিয়াছে কিনা।
২৫। বাজারের ক্ষেত্রে তোলার হার নির্ধারিত হইয়াছে কিনা।
২৬। চুক্তিনামা সম্পাদিত হইয়াছে কিনা।
২৭। কোন সায়রাত মহাল ইজারা দেওয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের বর্তস্বত্ব (পাবলিক ইজমেস্ট রাইট) খর্ব হয় কিনা তাহা দেখা। বর্তস্বত্ব ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে সায়রাত মহাল ইজারা
      দেওয়া যাইবে না।

রেজিষ্টারঃ

রেজিষ্টার ১: এ রেজিষ্টারটি “জমাবন্দী” রেজিষ্টার নামে অভিহিত। এতে ভূমি মালিকের নাম, জমির পরিমান, জমির শ্রেণী ইত্যাদি বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে।
রেজিষ্টার ২: এ রেজিষ্টার ভূমি মালিকদের রেজিষ্টার। এটি “তলববাকী” রেজিষ্টার নামে অবিহিত। বাংলাদেশ ফরম নং ১০৫৯- তে রেজিষ্টার মৌজা ওয়ারী সংরক্ষন করা হয়।
রেজিষ্টার ৩ : এ রেজিষ্টার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহশীলদার) “দৈনন্দিন আদায় রেজিষ্টার” নামে অভিহিত। এ রেজিস্টার বাংলাদেশ ফরম নং ১০৬২- তে সংরক্ষন করা হয়।
রেজিষ্টার ৪ : এ রেজিষ্টারটি ক্যাশ বই এবং বাংলাদেশ ফরম নং ৩৭৬ এ সংরক্ষন করতে হবে। প্রত্যেক জমা ও খরচের বিবরণী  এতে লিপিবদ্ধ করতে হয়।
রেজিষ্টার ৫ : এ রেজিষ্টারটি ট্রেজারী পাশ বই নামে অভিহিত। ইহা বাংলাদেশ ফরম নং ১০৭০ এ সংরক্ষন করতে হয়।
রেজিষ্টার ৬ : আবর্তক ধরনের বিবিধ দাবী যথা চারণ অধিকার বনজদ্রব্য সামগ্রীর লীজ (বাঁশ মহাল) ফেরীঘাট ইজারা ইত্যাদি বিবিধ রকমের দাবীর জন্য এ রেজিষ্ট্রার ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ ফরম নং ১০৭১ তে সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ৭ :ভূমি উন্নয়ন কর ও এর উপর আরোপিত সুদ ব্যতীত সরকারের অন্যান্য সকল প্রকার পাওনার জন্য  রেজিষ্টার- ৭ ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাংলাদেশ ফরম নং ১০৭১- ক-তে সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ৮ : এটি খাস জমি রেজিষ্টার নামে অভিহিত, বাংলাদেশ ফরম নং ১০৭২-এ তা সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ৯ : এ রেজিষ্টারটি নামজারী রেজিস্টার নামে অভিহিত এবং বাংলাদেশ ফরম নং ১০৭৩ এ সংরক্ষণ করতে হয়। এটি দুটি অংশে সংরক্ষণ করা হয়, ১ম অংশ উত্তরাধিকার বা জমা খারিজের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং ২য় অংশ সাব রেজিষ্টারের অফিস বা আদালত হতে হস্তান্তর নোটিশের আদেশের ভিত্তিতে নামজারীর জন্য ব্যবহৃত হয়।
রেজিষ্টার ১০ : মেয়াদী লীজের ক্ষেত্রে ১০৭৪ নং ফরমে এ রেজিষ্টার সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ১১ : ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ বা কমানো সংক্রান্ত রেজিষ্টার ১১ নং রেজিষ্টার নামে অভিহিত।
রেজিষ্টার ১২ : এ রেজিষ্টারটি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের রেজিষ্টার হিসেবে পরিচিত, বাংলাদেশ ফরম নং ১০৫৬ তে এ রেজিষ্টার সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ১৩ : যে সকল দরখাস্ত বা আবেদনের জন্য কোনো রেজিষ্টার নির্দিষ্ট করা হয়নি সে সকল বিষয়ের জন্য ১৩ নং রেজিষ্টার ব্যবহৃত হয়, বাংলাদেশ ফরম নং ১১৫২ ক তে রেজিষ্টার সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ১৪ : ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অফিসে স্থানীয় তদন্তের জন্য প্রেরিত আবেদন বা অন্য কাগজপত্র যাতে বিসৃত না হয় তার নিশ্চয়তার জন্য এ রেজিষ্টারটি ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ ফরম নং ১১৫২- ক তে এ রেজিষ্টিার সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ১৭ : এ রেজিষ্টারটি চালান রেজিষ্টার হিসেবে অভিহিত এটি কালেক্টরের অফিসে সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ২৬ :  এটি পরিদর্শন রেজিষ্টার নামে অভিহিত প্রত্যেক ইউনিয়ন অফিসে বা উপজেলা ভূমি অফিসে এ রেজিষ্টার সংরক্ষণ করা হয়।
রেজিষ্টার ৩২:  এটি জামানত রেজিষ্টার হিসেবে পরিচিত।
রেজিষ্টার ৭১ : মুদ্রিত ফরম সরবরাহ ও প্রাপ্তির বিবরণী লিপিবদ্ধ করার জন্য এ রেজিষ্টার ব্যবহৃত হয়।
রেজিষ্টার ৯৪: কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিকট সরবরাহকৃত চেক বই, আর আর ও ডিসি আর ইত্যাদি হিসাব সংরক্ষণের জন্য এ রেজিষ্টার ব্যবহৃত হয়।
রেজিষ্টার ৯ : এটি সার্টিফিকেট কেস রেজিষ্টার নামে পরিচিত, এ রেজিষ্টার বাংলাদেশ ফরম নং ১০২৩ এ সংরক্ষণ করা হয়।
 

নিয়মিত বিবরণী/রিটার্ণ সমূহ :

১ নং রিটার্ণ : সকল প্রজাসত্ত্বের বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন করের দাবী আদায় ও বকেয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১০৬৮ নং ফরমে ১ নং রিটার্ণ প্রণয়ন করতে হয়, ৩০ শে জুন তারিখের পূর্ববর্তী ১২ মাসের দাবী ও আদায়ের বিবরণী সম্বলিত এ রিটার্ণ ১৫ ই মে’র মধ্যে কালেক্টরের নিকট  প্রেরণ করতে হয়।

২নং রিটার্ণ : ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের অগ্রগতি সম্বলিত ২ নং রিটার্ণ ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্তৃক নিয়মিত ভাবে প্রণয়ন করা হয় এবং প্রতি মাসে এ রিটার্ণ সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং কালেক্টরের নিকট প্রেরণ করা হয়।

৩নং রিটার্ণ : বৎসর শেষ হওয়া মাত্র ১০৬৯ নং বাংলাদেশ ফরমে কর খেলাপকারীদের বিবরণ সম্বলিত  ৩ নং রিটার্ণ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রণয়ন করবেন, ৩০ শে চৈত্র বা ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর পরিশোধ করেননি এরূপ ভূমি মালিকানা কর খেলাফী বলে গন্য হবে।

নোটিশ বোর্ড






    google+     skype    rss